সেদিন রাতেই আমি এমন একটা জিনিস দেখেছিলাম যেটা আমার কাছে ওই বয়সে আজব লেগেছিলো আজ বুঝি সেটা কত বিকৃত ব্যাপার ছিল। সেদিন মাঠ থেকে ফিরে আমি খুব খুশি ছিলাম। সন্ধেবেলা সবাই বসে গল্প করছিলাম। মা সবার জন্য চা করে এনেছিল। আমার তখনো চা খাবার মতো বয়স হয়নি তাই দুধ খাচ্ছিলাম আর টিভি দেখছিলাম। মা আমার পাশে বসে ছিল। বাবা একটা ফোন করতে ঘরে গেছিলো। টিভিতে সিরিয়াল হচ্ছিলো। মা ওই সিরিয়ালটা দেখে। আমি ওসব দেখিনা। তাই এদিক ওদিক তাকাচ্ছিলাম। হঠাৎ আমার চোখ চলে গেলো দাদুর ওপর। দাদু আমার পাশেই বসে ছিল।
দাদু বসা অবস্থাতেও অনেক লম্বা। আমি দেখলাম দাদু একদৃষ্টিতে আমার মায়ের দিকে তাকিয়ে আছে আর চা খাচ্ছে। মাকে দেখলাম এক মনে সিরিয়াল দেখছে। কিন্তু মা যে ম্যাক্সিটা পড়েছে সেটা আগেরটা নয়। এটা অন্য। মাকে এটা আগেও পড়তে দেখেছি বাড়িতে। তবে এটার গলাটা অনেক নীচে। মানে নিতেই এই ম্যাক্সি দিয়ে মায়ের বুকের খাঁজটা বোঝা যায়। মা চা খাচ্ছে আর সিরিয়াল দেখছে কিন্তু দাদু ওসব সিরিয়াল ছেড়ে মাকে দেখছে।
হঠাৎ দাদু আমাকে আদর করে কোলের ওপর নিয়ে নিলো আর মায়ের দিকে আরও কিছুটা এগিয়ে গেলো। প্রায় মায়ের একদম পাশে। মা দাদুর আর আমার দিকে তাকিয়ে একটু হেসে আবার সিরিয়াল দেখতে লাগলো। আমি কিছু না বুঝে পা দোলাচ্ছি আর দাদুর সাথে কথা বলছি। কথা বলছিলাম টিভির দিকে তাকিয়ে কিন্তু কিছুক্ষন পরে আমি মাথা তুলে দাদুর দিকে তাকালাম আর দেখলাম দাদু মায়ের দিকে তাকিয়ে তবে মায়ের মুখের দিকে নয় মায়ের ওই বুকের খাঁজের দিকে আর বড়ো বড়ো চোখ করে। আগেই বলেছি বসা অবস্থাতেও দাদু মায়ের থেকেও লম্বা। দাদুর বুকের কাছে মায়ের মাথা শেষ। তাই মা বুঝতে পারছেনা দাদু তার দিকে তাকিয়ে। আমি ওসব কিছু না বুঝে আগের মতোই দাদুর সাথে গল্প করতে লাগলাম। একটু পরেই বাবার পায়ের শব্দ পেলাম তখনি দেখলাম দাদু একটু নড়ে চোড়ে সোজা হয়ে বসলো। আর বাবাও টিভি দেখতে লাগলো আমাদের সাথে। রাতের রান্নাটা মা ই করলো। মা খুব ভালো রান্না করে। দাদু আমি বাবা সবাই খুব তৃপ্তি করে খেলাম। বাবা খবর পরেই সোফায় গা এলিয়ে দিলো কিন্তু দাদুকে দেখলাম হাঁটা শুরু করলো। দাদু আমাকে বললো : একদম খাবার পর তোমার বাবার মতো বিছানায় বা সোফায় বসবেনা। কিছুক্ষন হাটবে।।।। তবে হজম ভালো হবে। তোমার বাবাকে দেখো কোনো নিয়ম মানেনা তাই কেমন ভুঁড়ি হয়ে যাচ্ছে। এই কথা শুনে আমি হাসলাম আর মায়ের দিকে তাকালাম কিন্তু মাকে দেখলাম দাদুর কথা শুনে বাবার দিকে তাকালো। বাবা পেটে হাত বোলাচ্ছে আর ঢেকুর তুলছে। মা বাবার ওপর একটু রেগে গেলো। মনে হলো দাদুর কথাতে মা একমত।
দাদু বললেন : বৌমা তুমিও আমাদের সাথে হাটবে?
মা হেসে বললো : আপনার ছেলেকে বলুন বাবা। দেখুন কেমন অলস হয়ে গেছে। ব্যায়াম তো দূরে থাক সামান্য কিছুও করেনা যাতে শরীর ঠিক থাকে।
বাবা : ধুর।।।। ওসব ব্যায়াম আমার কম্মো নয়।
দাদু : হুম।।।।। তা হবে কেন? বৌমা ঠিকই বলেছে। তুই আজ থেকে নয় সেই ছোট থেকেই অলস। হাজার চেষ্টা করেও তোকে দিয়ে শরীর চর্চা করাতে পারলাম না। এইজন্যই তো তোকে এত পেটাতাম। আর তোর মা খালি এসে তোকে বাঁচাতো।
বাবা : উফফফ।।। ভাগ্গিস মা বাঁচাতো। নইলে তোমার ওই হাতের মার চার পাঁচটার বেশি খেলেই আমি অজ্ঞান টগগান হয়ে যেতাম হয়তো।
মা : সত্যি বাবা। ওর মুখে শুনেছি আপনি শরীরের ব্যাপারে খুব কঠোর ছিলেন। নিয়মিত শরীর চর্চা করতেন। তাই আজও বয়সের ছাপ পড়েনি।
দাদু মায়ের দিকে তাকিয়ে : এখনও করি বৌমা। তবে রোজ করা হয়না আর। হপ্তায় চার দিন করি। বাবলু।।।।। মানে তোমার স্বামীর অরূপ সেতো এই ব্যাপারে আমার বিপরীত পুরো। কোনোদিন শরীর চর্চা করাতে পারলাম না ওকে দিয়ে। হাইট টাও বড়লোনা।
মা : শুনছো তুমি? বাবা এখনও নিয়মিত ব্যায়াম করে আর তুমি তারপর ছেলে হয়ে নিজের কি হাল করছো দেখো। একটু বেশি খাটাখাটনি করলেই হাপিয়ে ওঠে।
দাদু : ছাড়ো তো ওর কথা। গাধা একটা। আর এখন করেই বা কি আর কোনো লাভ হবে? বরং আমরা নিজেদের খেয়াল রাখি কি বলো বৌমা?
দাদুকে দেখলাম এক নজরে মায়ের শরীরটা দেখে নিলো। মা নিজের শরীরের প্রতি খেয়াল রাখে তাই এখনও কোথাও কোনো মেদ জমেনি। মা সাজতে খুব ভালোবাসে তবে মা না সাজলেও এমনিতেই মাকে অপূর্ব দেখতে। কিছুক্ষন আমি দাদু আর মা বারান্দায় হাটাহাটি করলাম তারপরে ঘরে চলে গেলাম।
মা আমাকে ঘুম পাড়াতে পাড়াতে বাবার সাথে গল্প করতে লাগলো।
মা : দেখলে।।।। এখনও তোমার বাবা সব নিয়ম মেনে চলেন। আর তুমি কোনো নিয়ম মানোনা। হয় খাবার পর সোফায় গা এলিয়ে দাও নয়তো বিছানায় উল্টে শুয়ে পড়ো। এই জন্যই এত তাড়াতাড়ি কমজোরি এসে যাচ্ছে তোমার মধ্যে। ভুঁড়ি হয়ে যাচ্ছে। বাবা ঠিকই বলেছেন।
বাবা : ধুর।।।।। ওসব আমার দ্বারা হবেনা। ওই ব্যায়াম ট্যাম আমার কম্মো নয়। আসলে যে যেরকম। বাবা শরীর চর্চা পছন্দ করেন আর আমি ওসবের কিছুই পছন্দ করিনা। ওই ব্যায়াম করলেও বাবার মতো হাইট আমার হতোনা বা ঐরকম শরীর আমার হতোনা। ছাড়ো।।
মা : আজ বাবার ঘরে গেছিলাম। তোমার বাবার আর তোমার মায়ের দেয়ালে টাঙানো ছবি দেখলাম। সত্যি।।।।।। তোমার বাবা তোমার মায়ের থেকে বয়সে বড়ো কিন্তু ছবিতে মনে হচ্ছিলো তোমার মায়ের বয়স যেন তোমার বাবার থেকে বেশি।
বাবা : হ্যা। মায়ের শরীর ভেঙে পড়েছিল শেষে। ছাড়ো ওসব। এখন ঘুম পাচ্ছে খুব। ঘুমিয়ে পড়ো তুমিও।
বাবা পাশে ফিরে শুয়ে পরলো। মাও একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আমার পাশে শুয়ে পরলো। এমনিই আসে পাশে বাড়ী নেই তারপর আবার বাড়ির উল্টো দিকে খাল। একদম শান্ত পরিবেশ। ঘরের ভেতরে ঘড়ির টিক টিক শব্দ স্পষ্ট সোনা যাচ্ছে। একটু পরে আমিও ঘুমিয়ে পড়লাম। কতক্ষন সময় কেটে গেছে জানিনা। হঠাৎ একটা নড়াচড়া তে আমার ঘুমটা হঠাৎ ভেঙে গেলো।
চোখ খুলে দেখলাম মা বিছানা থেকে নেমে দরজা খুলে বাইরে যাচ্ছে। আমি বুঝলাম মা বাথরুমে যাচ্ছে। কিন্তু মা বেরিয়ে যাবার সামান্য পরেই মনে হলো মায়ের পেছনে আরেকটা ছায়া দেখলাম। সেটা মায়ের দিকেই চলে গেলো। আমি উঠে বসলাম। ওটা কি দেখলাম আমি? ঠিক না চোখের ভুল? মা বাথরুমে ঢুকে গেলো কারণ দরজা বন্ধ করার শব্দ পেলাম।
আমারো এদিকে একটু হিসু পেয়েছিলো তাই ভাবলাম মায়ের দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়াই। সেই ভেবে বিছানা থেকে নামালাম। বাবাকে দেখলাম ঘুমিয়ে কাদা। নাক ডাকছে। আমি নেমে ঘর থেকে বেরিয়ে হাঁটতে হাঁটতে হল ঘর পেরিয়ে ওই বাথরুমের গলির সামনে গিয়ে দারুন ভয় পেলাম। বাথরুমের দরজাটা কয়েকটা জায়গা থেকে ভেঙে গেছে। খুব পুরোনো দরজা।
আর সেই ভাঙা জায়গা দিয়ে আলো বেরিয়ে আসছে। আর সেই আলোয় দেখলাম মায়ের বাথরুমের দরজার বাইরে কেউ দাঁড়িয়ে আছে। আমার যেন তাকে চেনা চেনা মনে হলো। তাই একটু এগিয়ে যেতেই দেখলাম আমি ঠিক। ওটা আর কেউ নয় দাদু। কিন্তু দাদু যেন অদ্ভুত কিসব করছে। বাথরুমের দরজায় কান লাগিয়ে কিছু সোনার চেষ্টা করছে। তখনি বাথরুম থেকে ছর ছর করে জল পড়ার শব্দ পেলাম। মানে মা বাথরুম শুরু করেছে।
কিন্তু দাদুকে দেখলাম ওই আওয়াজ শুনে মুখে একটা হাসি ফুটে উঠলো আর দরজাটায় হাত বোলাতে লাগলো। আর অন্য হাতে নিজের পেটের নীচে হাত ঢুকিয়ে কি করতে লাগলো। দাদুকে দেখলাম ওই ভাঙা ফুটো দিয়ে উঁকি দিতে। তারপরে দাঁতে দাঁত চিপে ওই দরজার দিকে তাকিয়ে কি যেন ভাবলো তারপর আবার হেসে উঠলো।
ওদিকে ছর ছর আওয়াজের জোর যেন আরও বেড়ে গেছে। খুব জোরে জল বেরিয়ে কমোডে পড়ছে আর তারফলে এই শব্দ। ওই আওয়াজ শুনে দাদু দেখলাম দেয়ালে হেলান দিয়ে বুকে হাত বোলাতে বোলাতে হাসছে। এদিকে অন্য হাতটা ধুতির ভেতরে ঢোকানো। দাদু এমনিতেই এত লম্বা।
ওই আধো আলো আধো অন্ধকারে যেন দাদুকে অন্যরকম লাগছে। একটু পরেই হিসুর আওয়াজ বন্ধ হলো দাদু অমনি সরে গেলো ওখান থেকে আর দরজার কাছ থেকে সরে গেলো আর এদিকে আসতে লাগলো। এদিকে এসেই আমার সাথে দেখা। আমাকে দেখে যেন একটু ঘাবড়ে গেলো দাদু।
আমি বললাম : দাদু তুমি বাথরুমে গেছিলে?
দাদু হেসে বললো : হ্যা সোনা। তুমি এখানে কি করছো?
আমি বললাম : আমিও হিসু করতে এসেছি।
দাদু হেসে আমার মাথায় হাত রেখে বললো : ঠিক আছে যাও। তোমার মায়ের হিসু হয়ে গেছে। নিশ্চই খুব হিসু পেয়েছিলো তোমার মায়ের। এদিকে যে আমার খুব তেষ্টা পেয়ে গেলো ওই আওয়াজ শুনে । যদি জল খেতে পারতাম।
আমি বললাম : দাদু ঘরে জল নেই?
দাদু হেসে বললো : এই জল কোনো সাধারণ কলের জল নয় দাদুভাই। এই জল হলো পেটের জল। যেমন তোমার মায়ের পেটে এতক্ষন ছিল। তুমি বুঝবেনা এখন। আমি যাই বাবা। মাকে বলোনা আমি উঠেছিলাম নইলে খালি খালি চিন্তা করবে আবার। কেমন?
আমি হ্যা সূচক মাথা নাড়লাম।
দাদু আমার গাল টিপে সোনা দাদুভাই আমার বলে চলে গেলো।
আমি মাথামুন্ডু কিছুই বুঝলাম না। আমি মায়ের দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম। একটু পরে মা বেরিয়ে এসে আমাকে দেখে বুঝতে পারলো আর আমাকে নিয়ে বাথরুম গিয়ে হিসু করিয়ে দিলো।
সেদিন দাদুর কথার মানে আমি বুঝিনি। বুঝিনি ওই কথাটার মধ্যে কতটা বিকৃত নোংরামি লুকিয়ে আছে। আর বুঝিনি ওই কথাটা সত্যি করতে পরের দিন দাদুর সাথে দেখা করতে একজন আসছে।
পরের দিন বাবা আর আমি ঘরে গল্প করছি। মা সকালের খাবার করতে নীচে গেছে। দাদু কোথায় জানিনা। হয়তো নিজের ঘরে ছিল। একটু পরে মা লুচি তরকারি করে আনলো। আমাদের থালাটা ঘরে রেখে মা দাদুরটা দাদুর ঘরে নিয়ে গেলো। আমি মায়ের পেছন পেছন গেলাম। বাবা খেতে খেতে কাগজ পড়তে লাগলো।
মাকে দেখলাম দাদুর ঘরে ঢুকতে। আমিও যেতে লাগলাম। পর্দার ফাঁক দিয়ে দেখলাম দাদু বিছানায় হেলান দিয়ে কাগজ পড়ছে। মাকে দেখেই হেসে উঠে বসলো। মাও হেসে বিছানার পাশে থাকা টেবিলে দাদুর লুচির প্লেটটা রাখলো। রাখার সময় সেই একি দৃশ্য দেখলাম। মা ঝুঁকে টেবিলে প্লেটটা রাখছে আর দাদু মাথা উঁচু করে মায়ের দিকে তাকাচ্ছে। মানে মায়ের বুকের কাছে। আমি তখনি দাদুর ঘরে ঢুকলাম। দাদু অমনি সোজা হয়ে বসলো আমাকে দেখে। আমি দাদুর পাশে গিয়ে বসলাম আর খেতে লাগলাম। মা চলে গেলো। আমি আর দাদু খেতে খেতে গল্প করতে লাগলাম।
আমি : দাদু কাল তুমি জল খেয়েছিলে?
দাদু : মানে?
আমি : ঐযে কাল বল্লেনা তোমার খুব জল তেষ্টা পেয়েছিলো। তোমার ঘরে জল ছিলোনা?
দাদু হেসে বললো : তা কেন থাকবেনা দাদুভাই। কিন্তু ওই জলে যে শুধু পেটের তেষ্টা মেটে। মনের তেষ্টা নয়। ওই তেষ্টা মেটাতে অন্য কিছু লাগে।
আমি : কি দাদু?
দাদু হেসে : থাক দাদুভাই। তুমি বড়ো হলে বুঝবে। তখন বুঝবে বড়ো হবার কত মজা। এখন খেয়ে নাও।
আমি আর দাদু খেতে লাগলাম। খাওয়া হয়ে গেলে আমরা গল্প করতে লাগলাম। একটু পরেই নীচে কলিং বেল বাজার ক্রিং শব্দ পেলাম। একটু পরে ভোলা এসে খবর দিলো তরুণ বাবু এসেছেন। দাদু খুশি হয়ে নিজেই নীচে নেমে গেলো আর একটু পরেই দাদুর সাথে তরুণ দাদুকে ওপরে আসতে দেখলাম।
ওপরে এসে তরুণ দাদু আমাকে দেখে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন : কি খোকা? কেমন আছো। আমি হেসে বললাম : ভালো আছি দাদু। দাদু ওনাকে নিয়ে ঘরে এসে আমার বাবা মাকে ডাকলেন। দাদুর আওয়াজে ওনারা বেরিয়ে এলো।
দাদু বাবা মায়ের সাথে তরুণ দাদুর দেখা করিয়ে দিলেন। যদিও বাবা তরুণ দাদুকে আগে থেকেই চিনতেন। বাবা তাকে প্রণাম করলো। তারপরে মা এসে তরুণ দাদুর সামনে ঝুঁকে প্রণাম করলেন। এরফলে যা হবার আবার তাই হলো। ম্যাক্সির ফাঁক দিয়ে ধরা পরলো মায়ের ওই খাঁজটা। যদিও আমি দাদুদের মুখ দেখতে পাচ্ছিলাম না কারণ আমি তাদের পেছনে ছিলাম। প্রণাম করে ওঠার পর তরুণ দাদু মায়ের মাথায় হাত রেখে বললো : বাবা।।।। সুবীর।।।। তোর বৌমা তো পরী একদম। কি সুন্দর দেখতে হয়েছে। ভালো থাকো মা ভালো থাকো।
মা লজ্জা পেয়ে হাসলো। মা নিজেই বললো : আপনাদের জন্য একটু চা করি? দাদু বললেন : হ্যা মা।।।। করো। আমরা আমার ঘরে গিয়ে বসছি। মা হেসে নীচে নেমে গেলো। বাবাও দাদুর সাথে কথা বলার পর ফোনে দরকারি কথা বলতে ব্যাস্ত হয়ে গেছে। আমি দেখলাম মা নীচে যাচ্ছে আর দুই দাদু মায়ের যাওয়া দেখছে আর তারপরে নিজেদের দিকে তাকালো আর মুচকি হাসলো। এরপরে দুই দাদু নিজেদের ঘরে ঢুকে গেলো। আমি কার্টুন দেখতে লাগলাম। কিন্তু ভেতরের কথাবার্তা শুনতে পাচ্ছিলাম।
তরুণ দাদু আমার দাদুকে বলছে : উফফফফ শালা।।।।। কি মাল রে !! ছবিতে দেখেছিলাম তোর বৌমাকে। কিন্তু আজ সামনে থেকে দেখে বুঝলাম সুন্দরী কাকে বলে। তোর বৌ তো তোর ছেলের জন্য ভালো জিনিস জুটিয়েছিলো রে।
দাদু বললো : সেই তো।।।।। ছেলের আমার ভাগ্য বটে অমন একটা বৌ পেয়েছে।
তরুণ : উফফফ ভাই কিছু মনে করিস না। যখন নিচু হয়ে পা ছুঁলো তখন স্পষ্ট ঐদুটোর খাঁজটা দেখতে পেলাম। উফফফফফ চোখের সামনে ভাসছে দৃশ্যটা।
দাদু : আরে মনে করবো কেন? তুই আমার জিগরি দোস্ত। একসাথে কত পাপ করেছি। তুই তো আজ দেখলি।।।। আমি দু দিন ধরে দেখছি। আমার কি অবস্থা ভাব। উফফফফ।।।।।।। আর পারা যায়না। তাইতো তোর কাছে ওইটা চাইলাম। এনেছিস?
তরুণ : সে আর বলতে? এই নে। সামলে রাখ। যেন তোর বৌমা আবার টের না পেয়ে যায়। আর রোজ একটু করে যা পাবি তাতে মিশিয়ে দিবি।
দাদু : আরে সে নিয়ে চিন্তা নেই। সেই জন্যে তো লোক রাখাই আছে। কমলাকে দিয়ে দেবো এটা। এমনিতেই কমলার সব খেয়াল আমি রাখি আর ও আমার এইটুকু খেয়াল রাখবেনা। ওর বরতো কোনো কম্মের নয়। বেগার খাটে। কমলার সব রকমের খেয়াল তো আমিই রাখি।
তরুণ : ব্যাস।।।। আর তোর চিন্তা নেই। এবারে তুই কাজ শুরু করে দে। এটা যা জিনিস না।।।।।।।।।। একটুতেই ভয়ানক কাজ হবে। দাম অনেক। তাই একটু একটু করে খাবারে মিশিয়ে দিতে বলবি। আর তারপরে এর খেলা দেখবি।
দাদু : সে জন্যই তো অপেক্ষা করছি রে। কিন্তু কাবাব মে হাড্ডিটার কি হবে?
তরুণ : মানে?
দাদু : আরে বাচ্চাটার।।।।।খেলাটা ভালো ভাবে খেলতে হলে মায়ের থেকে ছেলেকে আলাদা করতে হবে। মা একা হলে খেলা ভালো জমবে।
তরুণ : সেটা একদম ঠিক। মায়ের কাছ থেকে বাচ্চাকে আলাদা করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। মা ঘরে একা থাকলে নিজেকে নিয়ে সময় কাটানোর সুযোগ পাবে। ছেলে সাথে থাকলে মা নিজেকে নিয়ে খেলতে পারবেনা। একটা কাজ করা।।। (এরপরে ফিস ফিস করে কি কথাবার্তা হলো শুনতে পায়নি )
দাদু : দারুন।।।।।।। এতে কাজও হবে আর ঝামেলাটাও আর জ্বালাতন করবেনা। জানিস কালকেই ধরা পড়ে যাচ্ছিলাম।
তরুণ : কেন রে? বৌমা কি দেখে ফেলেছে?
দাদু : আরে নানা। রাতে তো আমি ওর পিছু নিয়ে বাথরুমে গেছি। তারপরে দরজা দিয়ে কান পেতে আওয়াজ শুনছি। কিসের আওয়াজ বুঝলি তো?
তরুণ : উফফফফ।।।।।।।। কতদিন মেয়েমানুষের ওই আওয়াজ শুনিনি রে ভাই। শেষ একবার আমার বৌমার শুনেছিলাম। দুপুরে স্নান করতে গিয়ে। তারপরে তো ওরা দিল্লি চলে গেলো। তা তারপরে?
দাদু : আর কি।।।।। দেখি ঝামেলাটা আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আমিও অমনি বাহানা করে বেরিয়ে এলাম। কিন্তু এইভাবে রোজ বাঁধা পড়লে চলে? তাই ভাবছিলাম ওকে মায়ের থেকে আলাদা করবো। এতে আমাদের কাজও হবে আর ঝামেলাও থাকবেনা।
Comments
Post a Comment