আমার খাওয়া, পড়াশোনা ঘুম পড়ানো সব সেই খেয়াল রাখতো। আমার বাবা আসলে ব্যাবসার কাজে এই কলকাতায় চলে আসেন। অন্তত বাবা আমাকে তাই বলেছিলো। এখান থেকে যাতায়াত সুবিধা হয় বলে। কিন্ত আসলে তিনি ছিলেন দূরের এক গ্রামের বড়োলোক বাড়ির একমাত্র ছেলে। আমি যদিও সেই গ্রামে তখনো যাইনি। আমার মাও বিয়ের পর কোনোদিন ওই বাড়িতে যায়নি। শুধু বাবার মুখেই শুনেছেন দাদুর কথা। গ্রামের বাড়িতে আমার দাদু থাকতো। ঠাম্মা অনেক আগেই চলে গেছেন। দাদু বাড়িতে একাই থাকেন। অনেক বার বাবাকে লিখেছেন বৌ বাচ্চা নিয়ে গ্রামে চলে আসতে।
দাদুর অনেক জমি অনেক সম্পত্তি আছে সেইসবের দায়িত্ব তিনি বাবাকে দিতে চান। কিন্তু বাবা কেন জানেনা নিজের বাবার কাছে যেতে চায়না। কেন কি কারণে তা অবশ্য আমি জানিনা আর বোঝার বয়সও তখন হয়নি। একদিন বাবা আর মা শুয়ে একে ওপরের সাথে গল্প করছেন। মাঝে আমি শুয়ে। মা আমার মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে বাবার সাথে কথা বলছে। মা ভেবেছে আমি ঘুমিয়ে গেছি। মা বাবাকে বলছে।।।
মা : মানুষটা তো তোমার বাবা নাকি? একা ওই ওতো বড়ো বাড়িতে ভুতের মতো দিন কাটায়। ছেলে হিসেবে তোমার দায়িত্ব নেই ওনার কথা একবার শুনে ওখানে যাবার?
বাবা : আমি জানি দীপালি। কিন্তু বাবাকে তুমি যতটা বুড়ো ভাবছো বাবা অতটা বুড়ো নন। তুমি তো বাবার ফটো দেখেছো। আমার থেকেও জোয়ান মনে হয়। আমার থেকেও প্রায় একহাত লম্বা বাবা। আমি আর লম্বা হলাম কই? আসলে বাবা পুলিশ ছিলেন তো তাই তার মধ্যে এখনও সেই কঠোর ভাবে নিজের খেয়াল রাখা, ব্যায়াম করা, এই ব্যাপার গুলো রয়ে গেছে। বাবা ছোট বেলায় রোজ আমায় জোর করে ব্যায়াম করাতো। করতে না চাইলে খুব বকতো আর মারতো। মা এসে আমায় বাঁচাতো।
মা : তোমার মায়ের মুখেই শুনেছি সব। উনি তোমায় খুবই মারতেন। একবার তো তোমাকে এমন মেরে ছিলেন যে তোমার পিঠে কালশিটে পরে গেছিলো। তুমি বাবাকে যমের মতো ভয় পেতে। সেই জন্যই কি তুমি তোমার বাবার ওপর রাগ করে ওনার কাছে যাওনা। তোমার মা যতদিন বেঁচে ছিলেন উনি একা আসতেন এই বাড়িতে কিন্তু শশুরমশাইকে আনতেন না। কেন গো?
বাবা চিন্তিত হয়ে মাকে বলেছিলো : তুমি যেটা ভাবছো সেই ব্যাপার নয় গো। বাবার ওপর রাগ করে নয়। কিছু কারণে মা নিজেই আমাকে মামারবাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিলো। কলেজ শেষ হতেই। কেন জানিনা মা আমাকে বাবার যাচ্ছে থেকে দূরে দূরে রাখতে চাইতো।
মা : কেন?
বাবা : জানিনা গো। তবে মা মনে হয় মনে করতো বাবার কাছে থাকলে আমি খারাপ হয়ে যাবো।
মা : মানুষটা তো তোমার বাবা নাকি? একা ওই ওতো বড়ো বাড়িতে ভুতের মতো দিন কাটায়। ছেলে হিসেবে তোমার দায়িত্ব নেই ওনার কথা একবার শুনে ওখানে যাবার?
বাবা : আমি জানি দীপালি। কিন্তু বাবাকে তুমি যতটা বুড়ো ভাবছো বাবা অতটা বুড়ো নন। তুমি তো বাবার ফটো দেখেছো। আমার থেকেও জোয়ান মনে হয়। আমার থেকেও প্রায় একহাত লম্বা বাবা। আমি আর লম্বা হলাম কই? আসলে বাবা পুলিশ ছিলেন তো তাই তার মধ্যে এখনও সেই কঠোর ভাবে নিজের খেয়াল রাখা, ব্যায়াম করা, এই ব্যাপার গুলো রয়ে গেছে। বাবা ছোট বেলায় রোজ আমায় জোর করে ব্যায়াম করাতো। করতে না চাইলে খুব বকতো আর মারতো। মা এসে আমায় বাঁচাতো।
মা : তোমার মায়ের মুখেই শুনেছি সব। উনি তোমায় খুবই মারতেন। একবার তো তোমাকে এমন মেরে ছিলেন যে তোমার পিঠে কালশিটে পরে গেছিলো। তুমি বাবাকে যমের মতো ভয় পেতে। সেই জন্যই কি তুমি তোমার বাবার ওপর রাগ করে ওনার কাছে যাওনা। তোমার মা যতদিন বেঁচে ছিলেন উনি একা আসতেন এই বাড়িতে কিন্তু শশুরমশাইকে আনতেন না। কেন গো?
বাবা চিন্তিত হয়ে মাকে বলেছিলো : তুমি যেটা ভাবছো সেই ব্যাপার নয় গো। বাবার ওপর রাগ করে নয়। কিছু কারণে মা নিজেই আমাকে মামারবাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিলো। কলেজ শেষ হতেই। কেন জানিনা মা আমাকে বাবার যাচ্ছে থেকে দূরে দূরে রাখতে চাইতো।
মা : কেন?
বাবা : জানিনা গো। তবে মা মনে হয় মনে করতো বাবার কাছে থাকলে আমি খারাপ হয়ে যাবো।
মা অবাক হয়ে : ওমা।।।। সে আবার কি? নিজের বাবার কাছে থাকলে ছেলে আবার খারাপ হয়ে যায় নাকি? তোমার মা কেমন যেন ছিলেন। আমাদের বিয়ের সময় ওনারা কেউ এলেন না। পরে শাশুড়ি মা একা এসে আমায় আশীর্বাদ করে গেলেন। বাবাকে আনলেন না। তারপর উনি দুদিন পরে ফিরে গেলেন। বিয়ের পর থেকে আমি খালি তোমার বাবার ফটোই দেখেছি। ওনাকে দেখিনি। তবে তোমার বাবার ওই ফটোটা দেখেই বুঝেছিলাম উনি খুব রগচটা মানুষ। তোমার মা তো ওনার সামনে একদম বাচ্চা মনে হয়। ওনার হাইট কত গো?
বাবা : ৬ ফুটের ওপরে। অথচ দেখো আমি মাত্র সাড়ে পাঁচ ফুট। আসলে বাবা কম বয়সে মাকে বিয়ে করে আর তাই বাবা কম বয়সে বাবাও হয়ে যান। আজ বাবাকে দেখলে কেউ বলবেনা তারপর এক নাতি আছে। যেমন লম্বা তেমনি তাগড়াই ব্যায়াম করা শরীর। কিন্তু আমি সেই দিক দিয়ে বাবার কোনো গুন পাইনি।
মা : তুমি তোমার মায়ের মতো হয়েছো।
বাবা : হ্যা।।।। আর আমি খুশি যে আমি আমার মায়ের মতো হয়েছি। বাবার মতো নয়। জানো বাবার এক ভাই ছিল সে পাগল ছিল। তাকে একটা ঘরে চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হতো। সেই ঘরে বাবা ছাড়া আর কেউ ঢুকতোনা। একবার আমি লুকিয়ে ওই ঘরে উঁকি দিয়েছিলাম। দেখি পাগলা কাকু মানে আমার কাকু বিছানায় উলঙ্গ হয়ে বসে আছে আর বাবা কাকুর সামনে খাবারের থালা রেখে ওনার চুল ধরে বলছে : নে শালা খেয়ে নে তাড়াতাড়ি। তোর হয়ে গেলে আবার আমি যাবো।
সেদিন বাবা আমাকে দেখতে পেয়ে যায় আর আমাকে খুবই মারে। মা এসে আমাকে বাঁচায়। নইলে বাবা আরও মারতো হয়তো। আসলে বাবার টাকা পয়সার অভাব ছিলোনা। পুলিশে ছিলেন তাছাড়া বড়ো বাড়ী সম্পত্তি সব ছিল। ওই পাগলা কাকুর সম্পত্তি বাবার নামেই ছিল। তবে ওই পাগলা কাকু আজ আর বেঁচে আছে কিনা জানিনা।
মা : তোমার বাবা খুবই রাগী মানুষ ছিলেন সেতো বোঝাই যাচ্ছে। কিন্তু এখন সেসব ভাবলে চলবেনা। উনি যেমনি হোক উনি তোমার বাবা। তাছাড়া এখন ওসব রাগ অভিমানের সময় নয়। উনি আমাদের দেখতে চাইছেন। মানুষটা একা। তাছাড়া উনি ওনার সম্পত্তি তোমাকে মানে নিজের ছেলেকে দিয়ে যেতে চাইছেন।
তোমার আমার সেটা পেলেতো সুবিধাই হবে। এমনিতেও তোমার এই ব্যাবসাটা সেরকম ভালো চলছেনা। তোমার বাবার ওই বিপুল সম্পত্তির মালিক তুমি হলে আমাদের কত সুবিধা হবে বলো দেখি। আমি বলি কি চলো সামনেই অজয়ের স্কুলে গরমের ছুটি পড়বে। চলো এই ফাঁকে তোমার গ্রাম থেকে ঘুরে আসি। উনি নিজের নাতিকে কাছে পেয়ে কত খুশি হবে বলোতো। দেখবে আমাদের পেয়ে উনি খুবই খুশি হবে আর ওনার সম্পত্তি তোমার নামে এই ফাঁকে লিখিয়ে নিও।
বাবা : সেতো তাহলে বেশ কয়েকদিনের ব্যাপার। না।। না অতদিন ব্যাবসা ছেড়ে আমি কিকরে থাকবো।
মা : উফফফ।।।।। তোমার এই ব্যাবসা যেমন তুমি চালাচ্ছ চালাও। আমি আর তোমার ছেলে না হয় কদিন ওই বাড়িতে থাকবো। ওনার সেবা করবো। তুমি আবার এসে আমাদের নিয়ে যাবে। দেখবে তোমার বাবার এমন সেবা করবো যে উনি খুশি হয়ে তাড়াতাড়ি সব তোমার নামে লিখে দেবেন। এতে আমাদের ছেলের ভবিষ্যতের কত সুবিধা হবে বলো। ওকে এই স্কুল ছাড়িয়ে নামি ভালো স্কুলে ঢুকিয়ে দেবো এই বয়স থেকেই নামি স্কুলে পড়লে ওর অনেক ভালো হবে। তুমিও ব্যাবসায় জোর পাবে। আমিও তোমাদের নিয়ে ভালো থাকবো।
বাবা : বেশ।।।।।। তুমি যখন বলছো তাহলে চলো। অনেক বছর যাইনি। ঘুরেই আসি। বাবার সাথে দেখা করে আসি। তাহলে পরের হপ্তায় চলো যাওয়া যাক। আমি এদিকটা ঘুছিয়ে নি একটু।
দিনটা ছিল রবিবার। আমরা ট্রেনে করে বাবার গ্রামের বাড়ী পৌছালাম। আমি খুব খুশি। দাদুর সাথে দেখা করবো। আমি খালি ছবিতেই দাদুকে দেখেছি। সামনে থেকে আজ দেখবো। স্টেশন থেকে একটা রিকশা নিয়ে বাবা আমাদের নিয়ে চললো তার বাড়ির পথে। আমরা কলকাতায় থাকি কিন্তু এখানকার লোকজন একেবারে গ্রাম্য নয়। অনেকটা সভ্য। হ্যা বাড়ী ঘরের দিক দিয়ে গরিব বলা চলে। প্রায় ১০ মিনিট সময় অতিক্রম করে রিকশাটা যে বাড়ির সামনে থামলো সেই বাড়িটা বেশ বড়ো। তবে অগোছালো। বিশাল দালান সামনে। কিন্তু অযত্নের জন্য লম্বা লম্বা ঘাস জন্মে গেছে। আমি আশে পাশে তাকিয়ে দেখলাম আমার দাদুর বাড়ির সামনে পেছনে এদিক ওদিক কোথাও কোনো বাড়ী নেই। ওই দূরে একটা দুটো বাড়ী দেখা যাচ্ছে কিন্তু বাকি চারদিকে শুধুই জঙ্গল আর গাছপালা। বাড়ির উল্টোদিকে খাল। বাবা রিক্সা ওয়ালা কে টাকা মিটিয়ে জিনিসপত্র নিয়ে গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকলো মায়ের সাথে। আমি পেছনে। বাবা দরজার সামনে এসে কড়া নাড়লো আর হাঁক দিলো দাদুকে। একটু পড়ে একটা বাজখাই আওয়াজ আসলো : কে? আসছি। আমি ভাবলাম বাব্বা কি গলা। একটু পরে দরজা খোলার শব্দ হলো। ভেতর থেকে বেরিয়ে এলো ইয়া লম্বা একটা বয়স্ক মানুষ। চিনতে পারলাম ইনি আমার দাদু। আমার বাবার বাবা। ওই ছোট বয়সেও অবাক হয়ে গেলাম এই দেখে যে আমার বাবার থেকে তার বাবা অনেক বেশি লম্বা। বাবার থেকে দাদু প্রায় এক হাত বেশি লম্বা। যদিও বয়সের চাপ মুখে পড়েছে কিন্তু যে পরিমান শরীর ভেঙে পড়া উচিত তার একটুও ভাঙেনি বরং উল্টো। দাদু বাবাকে দেখে আনন্দে বাবাকে জড়িয়ে ধরলো। বাবাও দাদুকে জড়িয়ে ধরলো।
বাবা : কেমন আছো বাবা?
দাদু : আর ভালো থাকি কি করে বল তোদের ছাড়া। তোর মা কবেই ছেড়ে গেছে। তোদের এতদিনে মনে পরলো আমাকে অরূপ। আয় বাবা বুকে আয়।
বাবা : ওরকম বলোনা। ছাড়ো ওসব কথা। দেখো তোমার বৌমা আর নাতিকে নিয়ে এসেছি।
মা দেখলাম এগিয়ে গিয়ে দাদুকে প্রণাম করলো। দাদু মাকে তুলে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো আর বললো : সুখী হও মা। বাহ্।।।।।।।।। কি সুন্দর দেখতে তোমায় মা।
মা একটু লজ্জা পেলো। দাদু ভুল কিছু বলেনি। আমার মা দেখতে খুবই সুন্দর। দুধে আলতা গায়ের রং। টানা টানা চোখ। কোমর পর্যন্ত লম্বা চুল। আমাকে দেখতে অনেকটা মায়ের মতোই। দাদুর নজর সব শেষে আমার ওপর পরলো। দাদু হাসতে হাসতে এগিয়ে এসে আমায় কোলে তুলে নিয়ে বললো : দাদু ভাই !!! আমার সোনা দাদু ভাই। তোমাদের শুধু ছবিতেই দেখেছি। আজ কাছে পেয়ে কি যে ভালো লাগছে কি বলবো।
বাবা : সেতো তাহলে বেশ কয়েকদিনের ব্যাপার। না।। না অতদিন ব্যাবসা ছেড়ে আমি কিকরে থাকবো।
মা : উফফফ।।।।। তোমার এই ব্যাবসা যেমন তুমি চালাচ্ছ চালাও। আমি আর তোমার ছেলে না হয় কদিন ওই বাড়িতে থাকবো। ওনার সেবা করবো। তুমি আবার এসে আমাদের নিয়ে যাবে। দেখবে তোমার বাবার এমন সেবা করবো যে উনি খুশি হয়ে তাড়াতাড়ি সব তোমার নামে লিখে দেবেন। এতে আমাদের ছেলের ভবিষ্যতের কত সুবিধা হবে বলো। ওকে এই স্কুল ছাড়িয়ে নামি ভালো স্কুলে ঢুকিয়ে দেবো এই বয়স থেকেই নামি স্কুলে পড়লে ওর অনেক ভালো হবে। তুমিও ব্যাবসায় জোর পাবে। আমিও তোমাদের নিয়ে ভালো থাকবো।
বাবা : বেশ।।।।।। তুমি যখন বলছো তাহলে চলো। অনেক বছর যাইনি। ঘুরেই আসি। বাবার সাথে দেখা করে আসি। তাহলে পরের হপ্তায় চলো যাওয়া যাক। আমি এদিকটা ঘুছিয়ে নি একটু।
দিনটা ছিল রবিবার। আমরা ট্রেনে করে বাবার গ্রামের বাড়ী পৌছালাম। আমি খুব খুশি। দাদুর সাথে দেখা করবো। আমি খালি ছবিতেই দাদুকে দেখেছি। সামনে থেকে আজ দেখবো। স্টেশন থেকে একটা রিকশা নিয়ে বাবা আমাদের নিয়ে চললো তার বাড়ির পথে। আমরা কলকাতায় থাকি কিন্তু এখানকার লোকজন একেবারে গ্রাম্য নয়। অনেকটা সভ্য। হ্যা বাড়ী ঘরের দিক দিয়ে গরিব বলা চলে। প্রায় ১০ মিনিট সময় অতিক্রম করে রিকশাটা যে বাড়ির সামনে থামলো সেই বাড়িটা বেশ বড়ো। তবে অগোছালো। বিশাল দালান সামনে। কিন্তু অযত্নের জন্য লম্বা লম্বা ঘাস জন্মে গেছে। আমি আশে পাশে তাকিয়ে দেখলাম আমার দাদুর বাড়ির সামনে পেছনে এদিক ওদিক কোথাও কোনো বাড়ী নেই। ওই দূরে একটা দুটো বাড়ী দেখা যাচ্ছে কিন্তু বাকি চারদিকে শুধুই জঙ্গল আর গাছপালা। বাড়ির উল্টোদিকে খাল। বাবা রিক্সা ওয়ালা কে টাকা মিটিয়ে জিনিসপত্র নিয়ে গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকলো মায়ের সাথে। আমি পেছনে। বাবা দরজার সামনে এসে কড়া নাড়লো আর হাঁক দিলো দাদুকে। একটু পড়ে একটা বাজখাই আওয়াজ আসলো : কে? আসছি। আমি ভাবলাম বাব্বা কি গলা। একটু পরে দরজা খোলার শব্দ হলো। ভেতর থেকে বেরিয়ে এলো ইয়া লম্বা একটা বয়স্ক মানুষ। চিনতে পারলাম ইনি আমার দাদু। আমার বাবার বাবা। ওই ছোট বয়সেও অবাক হয়ে গেলাম এই দেখে যে আমার বাবার থেকে তার বাবা অনেক বেশি লম্বা। বাবার থেকে দাদু প্রায় এক হাত বেশি লম্বা। যদিও বয়সের চাপ মুখে পড়েছে কিন্তু যে পরিমান শরীর ভেঙে পড়া উচিত তার একটুও ভাঙেনি বরং উল্টো। দাদু বাবাকে দেখে আনন্দে বাবাকে জড়িয়ে ধরলো। বাবাও দাদুকে জড়িয়ে ধরলো।
বাবা : কেমন আছো বাবা?
দাদু : আর ভালো থাকি কি করে বল তোদের ছাড়া। তোর মা কবেই ছেড়ে গেছে। তোদের এতদিনে মনে পরলো আমাকে অরূপ। আয় বাবা বুকে আয়।
বাবা : ওরকম বলোনা। ছাড়ো ওসব কথা। দেখো তোমার বৌমা আর নাতিকে নিয়ে এসেছি।
মা দেখলাম এগিয়ে গিয়ে দাদুকে প্রণাম করলো। দাদু মাকে তুলে মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো আর বললো : সুখী হও মা। বাহ্।।।।।।।।। কি সুন্দর দেখতে তোমায় মা।
মা একটু লজ্জা পেলো। দাদু ভুল কিছু বলেনি। আমার মা দেখতে খুবই সুন্দর। দুধে আলতা গায়ের রং। টানা টানা চোখ। কোমর পর্যন্ত লম্বা চুল। আমাকে দেখতে অনেকটা মায়ের মতোই। দাদুর নজর সব শেষে আমার ওপর পরলো। দাদু হাসতে হাসতে এগিয়ে এসে আমায় কোলে তুলে নিয়ে বললো : দাদু ভাই !!! আমার সোনা দাদু ভাই। তোমাদের শুধু ছবিতেই দেখেছি। আজ কাছে পেয়ে কি যে ভালো লাগছে কি বলবো।
এসো বৌমা ভেতরে এসো, আয় অরূপ ভেতরে আয়। দাদু আমাকে কোলে নিয়ে বাবা মায়ের সাথে ভেতরে ঢুকলো। দাদু জোর গলায় হাঁক দিলো এই কোথায় গেলি তোরা? ভেতর থেকে একটা লোক বেরিয়ে এলো। দেখে বোঝাই গেলো বাড়ির চাকর। আর তার পেছনে পেছনে একটা বৌ। মনে হয় লোকটার বৌ। দাদু বললো : চা জলখাবার সব বসা। আমার নাতি এসেছে, বৌমা এসেছে, ভোলা এক্ষুনি বাজারে যা। ভালো দেখে মাছ নিয়ে আয়। যা যা।।।।। এখুনি যা। বাবা আপত্তি করলো ওর তাড়াহুড়ো না করতে কিন্তু দাদু শুনলনা। ভোলা বেরিয়ে গেলো। দাদু মাকে বললো : বৌমা এর নাম কমলা। ওই ভোলার বৌ। এখানে বছর পাঁচেক হলো এরা কাজ করছে। এই কমলা যা বৌমাকে ওদের ঘরটা দেখিয়ে দে। বৌমা তোমরা আসবে তার খবর পেয়ে ওই দোতলার বড়ো ঘরটা পরিষ্কার করে রেখেছি। চলো চলো। দাদু আমাকে কোলে নিয়েই বাবা মাকে নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠে এলো দোতলায়। বেশ বড়ো জায়গা জুড়ে বাড়ী। হল ঘর পেরিয়ে উত্তরের দিকে একটা বেশ বড়ো ঘরে এলাম আমরা। ঘরটা বেশ বড়ো। বাবা মাল পত্র রেখে খাটে বসলো। দাদু মাকে বললো বৌমা তুমি আর অরূপ ফ্রেশ হয়ে নাও কেমন। আমি ততক্ষনে দাদু ভাইয়ের সাথে গল্প করি চলো দাদু ভাই। দাদু আমাকে নিয়ে বেরিয়ে এলো। মা দরজাটা ভেতর থেকে বন্ধ করে দিলো। দাদু আমাকে কোলে নিয়ে আদর করতে করতে বারান্দায় ঘুরে বেড়াতে লাগলো আর আমি কেমন আছি, কোন স্কুলে পড়ছি এসব জিজ্ঞেস করতে লাগলো। দাদুর হাত পা গুলো কি তাগড়া তাগড়া। আমি তো বলেই ফেললাম : দাদু তোমার হাত কি বড়ো আর লম্বা। দাদু হেসে বললো : তবে।।।।। জোয়ান বয়সে কত ব্যায়াম করতাম জানো। তোমার বাবাকেও করাতাম কিন্তু তোমার বাবা পারতোনা। কিন্তু তোমাকে শিখিয়ে দেবো তুমিও তখন আমার মতো শক্তিশালী হয়ে যাবে। এই বলে দাদু আমাদের ঘরের দিকে তাকালো। ঘরের দরজা বন্ধ কিন্তু জানলা খোলা ছিল। আগেকার দিনের ওপর নিচ মিলিয়ে চার পাল্লার জানলা। ওপরের পাল্লা দুটো খোলা ছিল।
সেখান দিয়ে ঘরের দেয়াল দেখা যাচ্ছিলো আর দেয়ালে টাঙানো বিরাট আয়নাটাও আমি দেখতে পাচ্ছিলাম। আর ওই আয়নায় আমি দেখতে পেলাম মাকে। মায়ের প্রতিফলন ওই আয়নায় পড়েছে। মা কাপড় বদলাচ্ছে। মা মুখে সায়াটা কামড়ে ধরে পেছন থেকে ব্রায়ের হুক খুলছে। একসময় সেটা খুলে মা নীচে ফেলে দিলো তারপরে মা আয়নার থেকে সরে গেলো। আবার পরক্ষনেই মাকে আয়নায় দেখতে পেলাম আমি। মা একটা ম্যাক্সি হাতে নিয়ে সায়াটা মুখ থেকে সরিয়ে দিলো আর তখনি পাশ থেকে মায়ের দুদুর বেশ কিছুটা অংশ আমি দেখতে পেলাম। এটা আমার কাছে কোনো বড়ো ব্যাপার নয়। বাড়িতে অনেকবার কাপড় বদলানোর সময় মায়ের দুদু দেখেছি। কিন্তু ওই মুহূর্তে যখন মায়ের দুদু ওই আয়নায় দেখা গেলো তখনই হঠাৎ শুনতে পেলাম: উফফফফ কি খাসা মাল রে। আমি দাদুর দিকে তাকিয়ে দেখলাম দাদু একদৃষ্টিতে ওই আয়নায় মায়ের দিকে তাকিয়ে আছে। আমি যে ওর কোলে রয়েছি দাদু যেন ভুলেই গেছে। আমি দেখলাম মা ওই ম্যাক্সিটা না পরে অন্য একটা ম্যাক্সি তুলে নিলো আর নিচু হয়ে নেবার সময় নিজের দুদু দুটো একহাতে চেপে ধরলো। আমি দেখলাম সেই দৃশ্য দেখে আমার দাদু দাঁত খিঁচিয়ে কি একটা বললো। তারপরে নিজের জিভটা ঠোঁটের ওপর বুলিয়ে মুচকি হাসলো। তারপরে আমাকে নিয়ে অন্যদিকে চলে গেলো। আমি কিছু বুঝলাম না আমি দাদুর সাথে গল্প করতে লাগলাম। একটু পরে দরজা খুলে গেলো। মা বেরিয়ে এলো। দাদুর কাছে এসে আমাকে কোলে নিয়ে বললো : চলো তোমার কাপড় পাল্টে দি। তারপরে একটু ইতস্তত হয়ে দাদুকে মা বললো : বাবা।।। আমি ম্যাক্সি পড়েছি বলে কিছু মনে করেন নিতো? আসলে বাড়িতেও আমি শাড়ী খুবই একটা পড়ি না। তবে আপনি বললে।।।।।।
মায়ের কথা শেষ হতে না দিয়ে দাদু হেসে বললো : আরে না না মা আমি কিচ্ছু মনে করিনি। তুমি এখনকার মেয়ে। তুমি এটা পড়বে সেটাই তো স্বাভাবিক। আমি কিচ্ছুই মনে করিনি মা। তুমি এটাই পোড়ো।
মা হেসে আমাকে নিয়ে ঘরের দিকে যেতে লাগলো। আমি মায়ের কোলে ছিলাম বলে দেখতে পেলাম দাদুর পেছন থেকে মায়ের দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু তাকানোটা যেন কেমন কেমন। মুখে একটা অদ্ভুত হাসি। আমি কিছু বুঝলাম না। আজ ভাবি যদি বুঝতে পারতাম।।।।।।।। যদি বুঝতে পারতাম।
দুপুরে দারুন খাওয়া দাওয়া হলো। ইলিশ মাছটা দারুন রান্না করেছিল কমলা মাসি। দাদু বললো : বৌমা এইবেলা খাটাখাটনি করে এসেছো। একটু বিশ্রাম নাও, আর তোমরাও বিশ্রাম নাও। দুপুরে আমি মা বাবা দরজা জানলা ভিজিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। বেশ ভালো ঘুম হলো। ঘুম থেকে উঠে দেখি মা বাবা নেই। আমি দেখি সন্ধে ৬টা বেজে গেছে। আমি উঠে বাইরে এলাম। দেখি বাবা দাদুর সাথে কথা বলছে। তখনি বাবার ফোনটা বেজে উঠলো। বাবা ফোনটা ধরে জানলার কাছে এগিয়ে গেলো।
মায়ের কথা শেষ হতে না দিয়ে দাদু হেসে বললো : আরে না না মা আমি কিচ্ছু মনে করিনি। তুমি এখনকার মেয়ে। তুমি এটা পড়বে সেটাই তো স্বাভাবিক। আমি কিচ্ছুই মনে করিনি মা। তুমি এটাই পোড়ো।
মা হেসে আমাকে নিয়ে ঘরের দিকে যেতে লাগলো। আমি মায়ের কোলে ছিলাম বলে দেখতে পেলাম দাদুর পেছন থেকে মায়ের দিকে তাকিয়ে আছে। কিন্তু তাকানোটা যেন কেমন কেমন। মুখে একটা অদ্ভুত হাসি। আমি কিছু বুঝলাম না। আজ ভাবি যদি বুঝতে পারতাম।।।।।।।। যদি বুঝতে পারতাম।
দুপুরে দারুন খাওয়া দাওয়া হলো। ইলিশ মাছটা দারুন রান্না করেছিল কমলা মাসি। দাদু বললো : বৌমা এইবেলা খাটাখাটনি করে এসেছো। একটু বিশ্রাম নাও, আর তোমরাও বিশ্রাম নাও। দুপুরে আমি মা বাবা দরজা জানলা ভিজিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। বেশ ভালো ঘুম হলো। ঘুম থেকে উঠে দেখি মা বাবা নেই। আমি দেখি সন্ধে ৬টা বেজে গেছে। আমি উঠে বাইরে এলাম। দেখি বাবা দাদুর সাথে কথা বলছে। তখনি বাবার ফোনটা বেজে উঠলো। বাবা ফোনটা ধরে জানলার কাছে এগিয়ে গেলো।
দাদু আরাম কেদারায় বসে ছিল। তখন দেখলাম মা চায়ের ট্রে নিয়ে ভেতরে ঢুকলো। দাদুর কাছে এগিয়ে গিয়ে হাসি মুখে বেশ কিছুটা ঝুঁকে দাদুকে চা দিলো। এরফলে মায়ের ওই ম্যাক্সির কিছুটা নীচে ঝুলে পরলো আর সেই ঝুলে পড়া ফাঁক দিয়ে ভেতরে মায়ের দুদু কিছুটা দেখা যাচ্ছিলো। মায়ের হাত থেকে কাপ নিলো দাদু। মা ওই অবস্থাতেই মুখ ঘুরিয়ে বাবাকে বললো : এই তোমার চা টেবিলে রাখলাম। আমি দেখলাম মায়ের অন্য দিকে মুখ ঘোরানোর সুযোগে দাদু মাথাটা উঁচু করে মায়ের ম্যাক্সির সামনের ওই ঝুলে থাকা জায়গাটা দেখে নিলো আর আবার জিভ চাটলো তারপরে চোখ সরিয়ে চায়ের কাপে মুখ দিলো। আমি বুঝলাম না। মায়ের বুকের কাছে দেখার কি আছে। ওখানে তো দুদু থাকে। বাচ্চারা দুধ খায়। আমি শিখেছি কিন্তু ওই ভাবে দাদু মায়ের ওই খানে কেন তাকালো বুঝলাম না। ধুর ছাড়ো ওসব। আমি গিয়ে দাদুর পাশে বসলাম। দাদু আমাকে দেখে বললো : এইতো দাদুভাই উঠে পড়েছো। চলো চা খাওয়া হয়ে গেলে তোমায় ছাদটা ঘুরিয়ে আনি। বৌমা যাবে নাকি ছাদে? চলো দেখবে তোমার শশুর বাড়ির ছাদটা। মা হেসে আচ্ছা বললো।
চা পর্ব সেরে আমি দাদু আর মা ছাদে গেলাম। বাবা আর গেলোনা। বসে টিভি দেখতে লাগলো। পুরোনো টিভি কিন্তু চলন সই। এই গ্রামে আর ওই দামি টিভি কে দেখবে? ছাদে উঠার পর দেখি বেশ হাওয়া। দাদু আমাকে নিয়ে ছাদ ঘুরিয়ে দেখাতে লাগলো। আমি দাদুর হাত ধরে হাঁটতে লাগলাম। মা এদিক ওদিক দেখতে লাগলো।
চা পর্ব সেরে আমি দাদু আর মা ছাদে গেলাম। বাবা আর গেলোনা। বসে টিভি দেখতে লাগলো। পুরোনো টিভি কিন্তু চলন সই। এই গ্রামে আর ওই দামি টিভি কে দেখবে? ছাদে উঠার পর দেখি বেশ হাওয়া। দাদু আমাকে নিয়ে ছাদ ঘুরিয়ে দেখাতে লাগলো। আমি দাদুর হাত ধরে হাঁটতে লাগলাম। মা এদিক ওদিক দেখতে লাগলো।
আমি দাদুর হাত ধরে ছাদের ধারে দাঁড়িয়ে নিচেটা দেখছি। নিচ দিয়ে খেলতে বয়ে চলেছে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। তবে এই দিকের রাস্তা দিয়ে লোকজন খুব একটা যাতায়াত করেনা দেখলাম। বাড়িটা বেশ বড়ো তাই ছাদটাও বেশ বড়ো। আমি কি মনে করে দাদুর দিকে তাকালাম। দেখি দাদু পেছনে চেয়ে আছে। আমি দাদুর নজর অনুযায়ী পেছনে চেয়ে দেখি মা নিচু হয়ে কি করছে। মায়ের পিঠ আমাদের দিকে ছিল তাই মায়ের দিকটা আমাদের সামনে আর দাদু মায়ের ওই নিচু হয়ে থাকা অবস্থায় থাকাটা লক্ষ করছে। আমি ভাবলাম এটা আবার দেখার কি আছে? মা উঠে দাঁড়াতেই দাদু চোখ সরিয়ে নিলো। দাদু আমার হাত ছেড়ে মায়ের কাছে এগিয়ে গেলো আর কথা বলতে লাগলো। আমি দেখলাম দাদুকে কি বিশাল লাগছে মায়ের সামনে। দাদু যে এত লম্বা আর এত স্বাস্থবান ছবিতে বুঝতে পারিনি। মা র মাথা দাদুর বুকের নীচে। আমি ভাবলাম আমিও যদি দাদুর মতো লম্বা হতে পারি খুবই ভালো হয়। আমি ছাদে ঘুরে বেড়াতে লাগলাম আর দাদু মায়ের সাথে কথা বলতে লাগলো। কিছুক্ষন ছাদে থেকে আমরা আবার নীচে ফিরে এলাম। বাবা তখন টিভিতে খবর দেখছিলো। আমি দাদুর সাথে বেশ ভাব জমিয়ে ফেললাম। এখন আমার ছুটির সময়। বেশ অনেকদিন আমার স্কুল বন্ধ। প্রথমে বাবা ঠিক করেছিল এই ছুটিতে দূরে কোথাও থেকে বেরিয়ে আসবো আমরা কিন্তু দাদুর চিঠি আসার পর আমরা এইখানে আসাই ঠিক করেছিলাম। রাতে আবার দারুন খাবার খেলাম। আমি এখনও মাছের কাঁটা বেছে খেতে পারিনা। মা আমাকে খাইয়ে দেয়। খাবার টেবিলটা গোলাকার।
আমি দাদুর পাশে বসেছি, মা আমার পাশে আর মায়ের পাশে বাবা। মানে বাবা আর আমি দাদুর পাশাপাশি আর মা দাদুর সামনে। খেতে খেতে আমি আর দাদু গল্প করছি। মা আমাকে একটু বকা দিচ্ছে। বলছে : জয় (আমার ডাক নাম ) আগে খেয়ে নাও তারপরে গল্প কোরো দাদুর সাথে। আমাকে খাওয়াতে খাওয়াতে মা নিজেও খাচ্ছে। আমাকে এক গাল খাইয়ে মা নিজের মুখে একগাল ভাত পুরে নিলো কিন্তু তার থেকে দুটো ভাত পিছলে মায়ের বুকের কাছে গিয়ে পড়ে আটকে গেলো। মা সেটা দেখে বুকের কাছে হাত এনে সেই ভাত তোলার চেষ্টা করলো। ভাতটা যেন আরও ভেতরে ঢুকে গেলো। মা বুকের ভেতরে বাঁ হাত সামান্য ঢুকিয়ে ভাত দুটো বার করার চেষ্টা করতে লাগলো। যার ফলে মায়ের দুদুর খাঁজটা একটু বাইরে প্রকাশ পেলো। এটা সাধারণ একটা ব্যাপার আমার কাছে তাই আমি আমার খাওয়াতে মনে দিলাম। হঠাৎ আমার চোখ গেলো দাদুর আর বাবার দিকে। বাবা নিজের মতো করে খেতে ব্যাস্ত। আঙ্গুল চেটে চেটে খাচ্ছে বাবা কিন্ত দাদু খাওয়া ভুলে বড়ো বড়ো চোখ করে সামনের দিকে চেয়ে আছেন। দাদুর মুখের কোণে একটা কেমন হাসি। হটাত সেই আবার নিজের ঠোঁটের ওপর জিভ বুলিয়ে নিলো দাদু। আমি দেখলাম দাদু মায়ের ওই ভাত বার করা দেখছে। আমি বুঝলাম না এটা আবার দেখার কি আছে? মা ভাত দুটো বার করে টেবিলে রেখে দিলো আর খাওয়ায় মন দিলো।
সবার খাওয়া হয়ে গেলে একসাথে উঠলাম আর হাত মুখ ধুতে গেলাম। যাবার আগে দেখলাম একটা অদ্ভুত জিনিস যদিও খুবই অদ্ভুত কিছু নয়। মা আর বাবা হাত ধুতে গেছে আর দাদু আমি দাঁড়িয়ে আছি। ওদের হাত ধোয়া হলে আমরা যাবো। হঠাৎ দেখি দাদু ওই খাবার টেবিলে ফিরে গেলো আর আমি দেখলাম দাদু বেছে বেছে ঠিক ওই দুটো ভাত যেটা মায়ের বুকে ঢুকে গেছিলো সেটা তুলে নিলো আর জিভ বার করে জিভের ওপর ভাত দুটো রেখে দাদু কিছুক্ষন চুষলো ভাতটা তারপরে খেয়ে নিলো। আমি ওতো খেয়াল না করে হাত ধুতে এগিয়ে গেলাম। রাত নামলো। এবারে ঘুমানোর সময়। দাদু আমাদের শুভরাত্রি বলে চলে গেলো। দাদুর ঘর হল রুম পেরিয়ে বাঁ দিকে। মা দরজা বন্ধ করতে যাচ্ছিলো কিন্তু বাবা বাঁধা দিলো। বললো : থাক না।।।।।।। বারান্দা দিয়ে দারুন হাওয়া আসছে। দরজা লাগিয়ে দিলে পাবনা। ওটা হালকা ভিজিয়ে রাখো। মা বললো : কিন্তু খোলা রাখা ঠিক হবে? বাবা হেসে বললো : ভয় নেই দীপালি বাবার বাড়ী উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। চোর ডাকাত ঢুকতে পারবেনা। আর আজকাল ওসবের ভয় নেই। থাক খোলা ওটা। মা দরজাটা ভিজিয়ে সামান্য খোলা রেখে শুতে চলে এলো। পুরোনোকালের খাট আমি আগে দেখিনি। কি সুন্দর পালঙ্ক। খাটে শুয়ে মা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে আমায় ঘুম পাড়াতে লাগলো আর বাবার সাথে কথা বলতে লাগলো।
মা : বাবা।।।।। তোমার বাবাতো তোমার থেকে অনেক লম্বা গো?
মা : বাবা।।।।। তোমার বাবাতো তোমার থেকে অনেক লম্বা গো?
বাবা : হ্যা।।।। আমি বাবার মতো লম্বাও হলাম না আর ওনার মতো শরীরও বানাতে পারলাম না। এই বয়সেও একটুও চামড়া ঝুলে যায়নি। খালি চুলে পাক ধরেছে আর চুল কমে গেছে।
মা : আশ্চর্য।।।। আমার তো মানুষটাকে ভালোই মনে হলো। তাহলে এতদিন তোমার মা বেঁচে থাকতে আমাদের এখানে আসতে দেন নি কেন? বা।। তোমার বাবাকে আমাদের কলকাতার বাড়িতে নিয়ে আসেননি কেন বুঝলাম না?
বাবা : জানিনা। মা আসলে বাবাকে আমার থেকে আলাদা করে দিয়েছিলো। বাবা আমায় খুবই মারতো বলে। কলেজ ভর্তি হবার সময় থেকেই আমায় মা মামার বাড়ী পাঠিয়ে দেন আর ওখানেই পড়াশুনা ব্যাবসা সব। মাঝে মাঝে আমি বাড়িতে আসতাম কিন্তু যখন থেকে আমার বিয়ের কথা শুরু হয় তখন থেকে মা আমায় একরকম এই বাড়িতে আসতে বারণ করে দেয়। আমায় বলতো মা যে কি করবি আর এই পুরোনো বাড়িতে এসে। বৌমাকে নিয়ে এই গ্রামে থাকা যায়না। তুই বরং কলকাতাতে একটা ফ্লাট নিয়ে থাক। আমি আর তোর বাবা গিয়ে থেকেই আসবো মাঝে মাঝে। আমার মনে হতো মা যেন আমাকে এই বাড়ী থেকে কোনোভাবে আলাদা করতে চাইতো।
মা : কিছু মনে করোনা। তোমার মায়ের মাথায় কোনো প্রব্লেম ছিল। নইলে উনি এসব অদ্ভুত কথা বলবেন কেন? হ্যা মানছি তোমার বাবা একটু কঠোর ছিল কিন্তু সে তো তোমার বাবা। তোমার মাকে আমি কোনোদিন বুঝতে পারলাম না।
বাবা : ছাড়ো।।।।।।। ছাড়ো ওসব পুরোনো কাসুন্দি ঘেটে লাভ নেই। আমার ঘুম পাচ্ছে। যা খেলাম আজকে। চোখে ঘুম জড়িয়ে আসছে শুয়ে পোড়ো।
মা বাবা আর আমি শুয়ে পড়লাম। বাইরের হাওয়া ঘরে ঢুকে ঘরটার আবহাওয়া দারুন করে তুলেছিল। কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম বলতে পারবোনা। হঠাৎ মশার কামড়ে ঘুমের ঘোরটা কেটে গেলো আমার। উফফফ কি জোরে কামড়ে দিয়েছে মশাটা। হাত চুলকাতে চুলকাতে বাবা মায়ের দিকে তাকালাম। দুজন গভীর ঘুনে। বাবা ওপাশে ফিরে আর মা চিৎ হয়ে শুয়ে। মায়ের প্রায় ঘুমোনোর সময় ম্যাক্সিটা থাই অব্দি উঠে যায়। আজকেও তার পরিবর্তন লক্ষ করলাম না। মায়ের ম্যাক্সিটা হাঁটুর কাছে ওঠার। মায়ের ফর্সা পা দুটো বেরিয়ে রয়েছে।
আমার চোখ এবারে মায়ের দিক থেকে সরে ঘরের দরজার দিকে গেলো। দরজাটা আগে যতটা ফাঁক ছিল এখন যেন তার থেকে বেশ খানিকটা বেশি ফাঁক করা দেখলাম। হয়তো জোরে হাওয়া ঢোকার ফল। কিন্তু ওটা কি? মেঝেতে কিসের ছায়া ওটা? লম্বা ডান্ডা মতো। আর মনে হচ্ছে ওই লম্বা ডান্ডাটা যেন কেউ হাতে ধরে ওপর নিচ করে খুবই জোরে নাড়ছে। ঘরের বাইরে ওটা কিসের ছায়া রে বাবা? আজব তো? আমি ভালো করে উঠে বসে দেখলাম হ্যা ঠিকই। একটা ডান্ডা। ছাদের আলোয় বারান্দায় ছায়াটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে আর ডান্ডাটা কেউ হাতে ধরে নাড়ছে। এবারে দেখলাম ডান্ডাটা যে ধরে ছিল সে ডান্ডা থেকে হাত সরিয়ে নিলো আর ছায়াটাও সরে গেলো। আমি কিছু বুঝলাম না। ধুর ঘুম চোখে কি দেখেছি কে জানে ভেবে আবার শুয়ে পড়লাম। আজ ভাবি সেদিন যেটা দেখেছি সেটা কি ছিল, সেটা কি পরিমান ভয়ানক ছিল আজ বুঝতে পারি। কিন্তু আজ অনেক দেরি হয়ে গেছে।
সকালে ঘুম ভাঙলো। উঠে দেখি বাবা বিছানায় বসে খবরের কাগজ পড়ছে। মা নেই। আমি উঠে বসে চোখ ডলছি। তখন মায়ের গলা পেলাম : তা এতক্ষনে ওঠার সময় হলো ছেলের? স্কুল ছুটি বলে কেউ এতক্ষন ঘুমায়? ওঠ।।।। দাঁত ব্রাশ কর যা। মা এসে বাবাকে চা দিলো আর মা আবার বেরিয়ে গেলো। আমি বাইরে এলাম। এসে দেখি দাদু আরাম কেদারায় বসে আছে আর মায়ের সাথে কথা বলছে। মায়ের পাশে দেখলাম কমলা মাসিকে।
সকালে ঘুম ভাঙলো। উঠে দেখি বাবা বিছানায় বসে খবরের কাগজ পড়ছে। মা নেই। আমি উঠে বসে চোখ ডলছি। তখন মায়ের গলা পেলাম : তা এতক্ষনে ওঠার সময় হলো ছেলের? স্কুল ছুটি বলে কেউ এতক্ষন ঘুমায়? ওঠ।।।। দাঁত ব্রাশ কর যা। মা এসে বাবাকে চা দিলো আর মা আবার বেরিয়ে গেলো। আমি বাইরে এলাম। এসে দেখি দাদু আরাম কেদারায় বসে আছে আর মায়ের সাথে কথা বলছে। মায়ের পাশে দেখলাম কমলা মাসিকে।
সেও মায়ের পাশে দাঁড়িয়ে দাদুর সাথে কথা বলছে আর দাদুকে লুচি তরকারি দিচ্ছে। কমলা মাসি হয়তো মায়েরই বয়সী। মায়ের থেকে কম উচ্চতার আর সামান্য মোটা। আমার মা সামান্য রোগা।।। বা বলা যেতে পারে নিজের শরীরের খেয়াল রাখে আর দেখতে অপরূপ সুন্দরী। তবে কমলা মাসি মায়ের ধারে কাছে না গেলেও দেখতে খাড়াপ নন। আমি দাদুর পেছনে ছিলাম তাই দাদু আমায় দেখতে পায়নি। আমি ওদের ছাড়িয়ে বেসিনের দিকে যাচ্ছি এমন সময় দেখলাম মায়ের হাত দিয়ে একটা বিস্কুটের টুকরো ভেঙে নীচে মাটিতে পড়ে গেলো। মা নিচু হয়ে ওটা তুলতে গেলো আর আবার সেই মায়ের ম্যাক্সি কিছুটা ঝুলে গেলো। কিন্ত এবারে দেখলাম শুধু দাদু নয়, কমলা মাসিও মায়ের ওই বুকের খাঁজটা ভালো করে দেখছে আর দাদু আর মাসি চোখ চাওয়া চাই করছে। ওই বয়সে কিছুই বোঝার মতো বুদ্ধি হয়নি তাই আমি যে কাজের জন্য যাচ্ছিলাম সেদিকে চলে গেলাম। দোতলায় একটা পায়খানা বাথরুম ছিল আর একতলায় আরেকটা। দুটোই বেশ বড়ো।
দোতলার বাথরুমটা ছিল একটা গলির ভেতর। আমি সেটাতেই গিয়ে সকালের কাজ সেরে বেরিয়ে এলাম। আর এসে দেখি বাবা আর দাদু বসে কথা বলছে। আমি দাদুর পাশে গিয়ে বসলাম। দাদু আমাকে জড়িয়ে বাবার সাথে দরকারি কথা বলছিলো। আমি টিভি দেখছিলাম। কিন্তু একসময় বোরিং লাগছিলো। তাই দাদুকে জিজ্ঞেস করলাম মা কোথায়? দাদু বললো : তোমার মা রান্নাঘরে গেছে। আজ আমি বৌমার হাতে রান্না খাবো। তুমি যাবে মায়ের কাছে? আমি মাথা নাড়লাম। দাদু বললো : যাও নীচে যাও। আমি তোমার বাবার সাথে কথা বলি। আমি দাদুর কথা মতো নীচে নেমে এলাম। একতলার শেষের কোণে রান্না ঘর।
প্রায় দুটো ঘর মিলিয়ে একটা রান্নাঘর। সেখান থেকে হাতা খুন্তি নাড়ানোর আওয়াজ আসছে। আমি এগিয়ে গেলাম সেদিকে। রান্নাঘরে এসে দেখি মা আর কমলা মাসি গল্প করতে করতে রান্না করছে। মা নীচে বসে সবজি কাটছে। আমাদের কলকাতার বাড়িতেও মা এইভাবেই বসে বসে সবজি কাটে বঁটিতে। মা কিছুটা ঝুঁকে বেগুন কাটছিলো আর কমলা মাসি মায়ের সামনেই টেবিলের কাছে দাঁড়িয়ে কিছু রান্না করছিলো। আমি দেখলাম এবারে কথা বলতে বলতে সে মায়ের দিকে ঘুরলো আর কি একটা দেখে ওই ভাবেই মায়ের দিকে তাকিয়ে রইলো।
Comments
Post a Comment